আমাদের ভালোলাগাগুলো ষড়ঋতুর মতো।আমাদের আবেগ বদলায়।ছোটবেলায় একটাকায় চারটা চকলেট পেয়ে কিংবা বাবার কাছে দুই টাকার আবদার করে পাঁচ টাকা পেয়ে, আমরা পৃথিবীর সুখী মানুষদের একজন হয়ে যেতাম।
ভোরবেলা পুরো মহল্লা মাতিয়ে তুলতাম আমাদের হুল্লোড়ে।
পুতুলের বিয়ে দিতে গিয়ে নিজেদের বেশ মহান মনে হতো।বাড়িতে মেহমান আসলে সালামির সুপ্ত লোভে তাদের খাতিরের কমতি রাখতাম না।মায়ের বকুনি খেয়ে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করতাম আর কথাই বলবোনা মায়ের সাথে।কিন্তু,রাত্রিবেলা ঠিকি মায়ের কোলে ঘুমের ঘোরে রঙ বেরঙের স্বপ্ন দেখতাম।
আমার বেশ রাগ ছিলো।রেগে গিয়ে যখন মুখ ফোলাতাম,বাবা তখন ঠিকি কিছু না কিছু করে রাগ ভাঙিয়ে দিতো।নিজেকে খুব সুখী মনে হতো তখন।
আস্তে আস্তে আমরা বড় হতে থাকলাম।আমাদের ভালোলাগার বিষয়গুলোও বদলাতে থাকলো।এখন পুতুলের বিয়ে কিংবা পাড়া মাতানো হই-হুল্লোড় না বরং,প্রেমিকার রোমান্টিক ক্ষুদে বার্তা আমাদের বেশি আকর্ষণ করে।বাবা-মায়ের সাথে কেমন যেন দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে দিনদিন।
আমাদের সবার ভালোলাগা গুলো এক না হলেও বদলে যাওয়াটা এক।হয়তো এটাই প্রকৃতির সূত্র!
দিনশেষে আমরা একি মানুষ,ভিন্ন শুধু অনুভূতিগুলো।
লেখা – তানিম আহমেদ দিপ্ত
Excellent dear ❤carry on❤